
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শাহপুর গ্রামের ফারহানা আক্তার শারমিন (২৬) দেড় মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তার দ্বিতীয় স্বামী আহসান হাবিব আজাদ (২৮) এর সঙ্গে। পরিবারের দাবি, মেয়েকে জীবিত বা মৃত—যেভাবেই হোক ফিরে পেতে চান তারা।
দীর্ঘ ১০ বছর আগে শারমিনের প্রথম বিয়ে হয় সদর উপজেলার ঝাঁজরি গ্রামের সাব্বির হোসেনের সঙ্গে। সংসারে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তবে স্বামীর বন্ধু আহসান হাবিবের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে চার মাস আগে সাব্বিরকে তালাক দিয়ে শারমিন বিয়ে করেন আহসানকে। এর পর থেকে তিনি বাপের বাড়িতে থাকতেন।
পরিবার জানায়, গত ১ আগস্ট আহসান হাবিব ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শারমিনকে নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার ভাই মেহেদী হাসান ঝিনাইদহ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন। সেদিন বেলা তিনটার পর থেকে আর কোনো খোঁজ মেলেনি শারমিন ও আহসানের। থানায় জিডি ও কোর্টে মামলা করেও তারা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
শারমিনের মা হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি ফেরত চাই। জীবিত হোক বা মৃত; আমরা শুধু মেয়ের দেখা চাই।’
বাবা শাহার আলী বলেন, ‘মেয়েকে মেরে ফেলেছে, না জীবিত আছে- আমরা জানি না। তবে তাকে ফিরে পেতে চাই।’
অন্যদিকে, আহসান হাবিবের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীও তার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।
জীবননগর থানার উপপরিদর্শক কৃষ্ণপদ হালদার জানান, নিখোঁজদের ফোন নম্বরের কল ডিটেইল রেকর্ড ও লোকেশন সংগ্রহ করা হয়েছে। শারমিনের সর্বশেষ অবস্থান ঝিনাইদহে এবং আহসানের কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছে। এর পর থেকে সব নম্বর বন্ধ।
ডিবির উপপরিদর্শক শরীয়ত উল্লাহ জানান, সিএনজি চালক আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মামলা না থাকায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তাকে তথ্য দিতে সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।