ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ব্র্যাক আয়োজিত অ্যাডভোকেসি সংলাপে বক্তারা

কক্সবাজারে মার্কেট-হোটেল খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে

কক্সবাজারে মার্কেট-হোটেল খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে

সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দেশে ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক’ খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আশাব্যঞ্জক নয়। ব্র্যাকের ‘ইমপ্রুভিং স্কিলস অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিজ ফর দি ওমেন অ্যান্ড ইয়ুথ ইন কক্সবাজার-আইএসইসি (ISEC) প্রকল্পের এক জরিপে দেখা যায়, কক্সবাজারে মার্কেট ও হোটেল খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের বেশ সুযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নারীদের কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উন্নয়নে তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করা, স্থানীয় বাজারগুলিতে নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ টয়লেট নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ, হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে ‘জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন’ স্বীকৃতি প্রদান করে নারী-সহায়ক নীতি বাস্তবায়নকে উৎসাহিতকরণ, নারী শ্রমিকদের অভিযোগ সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংগঠনগুলো যৌথভাবে কাজ করা জরুরি।

বুধবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসি সংলাপে বক্তারা এই সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন। ব্র্যাকের ‘ইমপ্রুভিং স্কিলস অ্যান্ড ইকোনমিক অপরচুনিটিজ ফর দি ওমেন অ্যান্ড ইয়ুথ ইন কক্সবাজার (আইএসইসি-ISEC) প্রকল্পের উদ্যোগে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক, বাজার কমিটি, নারী উদ্যোক্তা, শ্রমিক প্রতিনিধি, উন্নয়ন সংস্থা এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ মোট ৫০ জনের অধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে ব্র্যাক-এর আইএসইসি প্রকল্পের প্রধান খন্দকার ফখরুল আলম স্বাগত বক্তব্য এবং প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান কাজী রওশন আরা বলেন, “বাজার ও হোটেল খাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো ও নীতি বাস্তবায়ন জরুরি। এতে শুধু নারীর কর্মসংস্থানই নয়, পুরো অর্থনীতি উপকৃত হবে।

ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের প্রধান মাসুমা বিল্লাহ এই সংক্রান্ত জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন।

তিনি উপস্থাপনার তথ্য তুলে ধরে বলেন, “আমাদের এক গবেষণায় দেখা যায়, কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়া নারীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই বিভিন্ন বাধার কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ দেশে ‘আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক’ খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের বেশ সুযোগ রয়েছে। এসব খাতে নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে পারলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিত করা জরুরি। এতে তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, আইএসইসি (ISEC) প্রকল্পটি কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নে কাজ করছে। গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার (GAC) আর্থিক সহায়তায় ব্র‍্যাক, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (UNDP) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এই প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো কক্সবাজার জেলার শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত নয় (NEET) এমন যুব, নারী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে বাজার উপযোগী, জেন্ডার-সংবেদনশীল দক্ষতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান ও স্ব-নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ তৈরি করা।

ব্র্যাক,সংলাপ,নারী,কর্মসংস্থান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত