
চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। সবজির আড়তগুলো বিভিন্ন শীতকালীন সবজিতে সয়লাব।
নগরীর বেশ কিছু সবজির আড়ত ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রায় প্রতিটি সবজির দোকানে থরে থরে শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য সবজি সাজানো আছে। শীতের আগাম সবজি-শিম খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। কিন্তু আড়তে সেটি মিলছে অর্ধেক দামে-১১০ টাকায়। শুধু এই দুটি সবজি নয়-বেশিরভাগ সবজির দামই আড়ত আর বাজারের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। নগরীর সবজির প্রধান আড়ত রিয়াজউদ্দিন বাজারে কাঁচা পেঁপের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ১২ টাকা। সেই সবজিটি কিনা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা পর্যন্ত।
আড়তদার আর গ্রাহকেরা বলছেন, পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া হিসেবের পর প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বাড়তি রাখলেও মুনাফা হবে খোলাবাজারের ব্যবসায়ীদের। কিন্তু তারা সিন্ডিকেট করে প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা থেকে দ্বিগুণ পর্যন্ত লাভ করছেন। শুরুতে তো দুটি সবজির দামের চিত্র দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর বহদ্দারহাট ও দুই নম্বর গেটের কর্ণফুলি কমপ্লেক্স কাঁচাবাজারে দেখা যায় অন্যান্য সবজিগুলোর মধ্যে বেগুন ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তে বেগুন ৫০, বরবটি ৫০, লাউ ২৫, কাঁকরোল ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, পটল ৩৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি ৬০, বাঁধাকপি ৫০, ঝিংগে ২৫, চালকুমড়া ২০, শসা ৪০, টমেটো ৮০, গাজর ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আড়তে। কিন্তু খোলাবাজারে সেই সবজির অনেকগুলো প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক শিবলী জানান, আড়তের সঙ্গে খোলাবাজারের পার্থক্য প্রতি কেজিতে ৫-৬ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখানে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি সংস্থাগুলো খোলাবাজারে তদারকি বাড়ালে এটি কমবে।
তবে চকবাজারের সবজি বিক্রেতা আরিফ বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে চকবাজারে সবজি নিয়ে আসার ভাড়া, শ্রমিক খরচ ও দোকান ভাড়া পুষিয়ে লাভ কমই থাকে। এর বাইরে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়, সেগুলো বিক্রি করা যায় না। সে কারণে আড়তের সঙ্গে খোলাবাজারের বড় পার্থক্য থাকবে স্বাভাবিক। এমনটি না হলে খোলাবাজারে কেউ ব্যাবসা করতে পারবে না।