
কক্সবাজারে স্থবির হয়ে পড়া ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও, ৬ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার সংশোধিত বিধিমালা মানছেন না।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর আকাশচুম্বী উৎসেকর বাতিল হওয়া সত্ত্বেও চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, টেকনাফ, উখিয়া ও মহেশখালীর সাব-রেজিস্ট্রাররা আগের মতোই অতিরিক্ত উৎসেকর ধার্য করছেন।
জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশনা মানা না হওয়ায় এসব এলাকায় ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জেলা রেজিস্ট্রার রেজাউল করিম বকসী জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের সংশোধিত গেজেট তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর পেয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর দুই-তিন দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
চকরিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. সালাহউদ্দিন আহমেদও জানিয়েছেন, গেজেটের অস্পষ্টতা চিহ্নিত করেছেন এবং সঠিক নির্দেশনা মিলে কউকের উৎসেকর আরোপ করা হবে না।
ভুক্তভোগী জমির বিক্রেতা ও আইনজীবী মোহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জানান, সংশোধিত গেজেট অনুযায়ী ২৩ সেপ্টেম্বর চকরিয়ায় ভরামুহুরী মৌজার জমি নিবন্ধন করা হয়। তবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কিছু কর্মকর্তা ৪২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুষ নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের প্রচেষ্টায় আকাশচুম্বী উৎসকর বাতিল হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৫ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ২৪ জুনের পরিপত্র সংশোধন করে বর্ধিত করহার বাতিল করেছে। এতে কউক এলাকার জমি ক্রয়-বিক্রয় পুনরায় গতি পেতে যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবুল হোছাইন বলেন, ‘জেলা রেজিস্ট্রারের মতামত মেনে ৬ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার না চললে ভূমি নিবন্ধন আবারও ঝিমিয়ে পড়বে। এটি অন্যায়।’