
‘সাতক্ষীরা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: সংকট ও সমাধান’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা সাতক্ষীরার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে শহরটি যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনুপস্থিত, বৃষ্টির পানি জমে ময়লা আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে। শহরে ময়লা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই এবং কোনো ডাম্পিং স্টেশনও গড়ে তোলা হয়নি।
প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সাতক্ষীরা পৌরসভার সেবার মান তলানিতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শহরটি বসবাসের যোগ্যতা হারাতে পারে।
বক্তারা ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
সংলাপে প্রকাশিত ধারণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, সাতক্ষীরা শহরের সোয়া দুই লাখ মানুষের জন্য ডাস্টবিন রয়েছে মাত্র ২০–২২টি, যার বেশিরভাগই খোলা ও বেষ্টনীবিহীন। ফলে বর্জ্য একদিকে ডাস্টবিনের মধ্যে উপচে পড়ে, অন্যদিকে যেখানে ডাস্টবিন নেই সেখানে নাগরিকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় বর্জ্য ফেলেন।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌরসভার কনভেন্সি ইন্সপেক্টর ইদ্রিস আলী, সনাক-সাতক্ষীরার সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, প্রাণ সায়ের খাল বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, মিজানুর রহমান, গোলাম সরোয়ার, স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, হেড পরিচালক লুইস রানা গাইন, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, সাংবাদিক বিপ্লব হোসেন, বারসিক কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান ও যুব সদস্য তরিকুল ইসলাম। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা কুমারেশ মজুমদার ও বিউটি খাতুনও সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে নাগরিকরা একমত হয়েছেন, শহরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে দ্রুত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন।