
নরসিংদী সদরের চরাঞ্চলে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদেক মিয়া আলোকবালি ইউনিয়নের মুরাদনগর গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে। তিনি অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুমের সাথে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহআলমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই মধ্যে গতবছরের ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পলানোর পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
চলতি মাসের ১৮ তারিখ আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ আলী ও তার গ্রুপের সদস্যরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহআলম এর সমর্থন নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে। ওই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইদন মিয়া নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়। এর পর থেকে অ্যাডভোকেট আসাদ আলীর সমর্থকরা এলাকায় অবস্থান করছিল।
এরই মধ্যে আজ সোমবার সকালে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে অলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্মআহবায়ক সাদেক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদ হোসেন বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে একই ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ইদন মিয়া ও ফেরদৌসী বেগম নামে দুইজন নিহত হয়। এই ঘটনায় এই নিয়ে তিনজন নিহত হবার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়।