চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৭টি জোনে ১২ অক্টোবর থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধী বিনামূল্যে টিকাদান কার্যক্রম। এই কর্মসূচির মাধ্যমে নগরের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৯৫১ শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে।
বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, টাইফয়েড প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা গ্রহণ। তাই নগরের প্রতিটি শিশু যেন এই টিকা বিনামূল্যে গ্রহণ করে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এই উদ্যোগ নিয়েছে এবং নগরী হবে টাইফয়েডমুক্ত ও নিরাপদ।
মেয়র জানান, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৭৮৩টি আউটরিচ সাইটে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম দুই সপ্তাহ স্কুল পর্যায়ে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহ কমিউনিটি পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
টিকাদান কার্যক্রমে স্কুল ক্যাম্পেইনে ৪২০ জন ভ্যাকসিনেটর, কমিউনিটি ক্যাম্পেইনে ২১৫ জন ভ্যাকসিনেটর এবং স্কুল ও কমিউনিটি ক্যাম্পেইনে ৬২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া স্কুল ও কমিউনিটি ক্যাম্পের জন্য ২০৫টি করে টিম এবং পর্যবেক্ষণের জন্য প্রথম স্তরে ৮২ জন, দ্বিতীয় স্তরে ১১ জন সুপারভাইজার থাকবে।
মেয়র বলেন, “শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে টিকাদান কার্যক্রমকে সফল করতে হবে। নগরের প্রতিটি অভিভাবককে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে এবং নির্ধারিত তারিখে শিশুদের টিকা দিতে নিয়ে আসতে অনুরোধ করছি। ইতিমধ্যে ২ লক্ষাধিক শিশুর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টাইফয়েড শুধুমাত্র স্কুলপড়ুয়া শিশুদের নয়, স্কুলবহির্ভূত শিশুদেরও হতে পারে। তাই কমিউনিটি পর্যায়েও টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে, যেন কোনো শিশু বাদ না যায়।
সিটি মেয়র চসিক স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে পর্যাপ্ত প্রচার, মনিটরিং ও রেকর্ড সংরক্ষণ নিশ্চিত হয় এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা ও অন্যান্য চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
