
চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ২ দিন আগে বাজারে ইলিশের দাম লাগামহীন হয়ে উঠেছে। বাজারে ইলিশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ।
ইলিশের প্রজনন রক্ষায় আগামী (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ঠিক তার আগমুহূর্তে চাঁদপুরের মাছঘাটগুলোতে চড়া দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
বড় সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাটে দেখা গেল ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিড়।
ফরিদগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা আরিফুর রহমান বলেন, কয়েকদিন পরেই ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আসবে। যে কারণে এই ঘাটে ইলিশের দরদাম দেখার জন্য আসছি। তবে মাছের চাইতে ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।
শহর থেকে আসা আরেক ক্রেতা তানভীর আহমেদ বলেন, ছোট, মাঝারি এবং বড় সাইজের কম বেশি ইলিশ এই ঘাটে আছে। পদ্মা-মেঘনা থেকে জেলেরা ইলিশ ধরে সরাসরি এই ঘাটে নিয়ে আসে। এখানে বরফ ছাড়া তাজা ইলিশ পাওয়া যায়। যে কারণে এখানে আসি। তবে বাজেটের সাথে মিল না হওয়ায় কেনা সম্ভব হয়নি। এই ঘাটের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, গত কয়েকদিন ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতিহালি(২শ’গ্রাম ওজন) বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আর ১ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হা্জার টাকায়।
হরিণা মাছ ঘাটের প্রবীণ মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ছৈয়াল বলেন, এবার মৌসুমে কম-বেশি ইলিশ পাওয়া গেছে। তবে তাজা ইলিশের চাহিদা বেশি থাকায় দাম কমেনি। বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা দেশজুড়ে। যারা অনলাইনে ইলিশ বিক্রি করেন তারাও অনেকে এখান থেকে এসে নিয়ে যায়।
চাঁদপুর সদরের জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, চলতি বছরে জাটকা রক্ষায় প্রশাসন কঠোর ছিল। ফলে জেলেরা বড় সাইজের ইলিশ পাচ্ছে। তবে দাম অনেক বেশি।