
চুয়াডাঙ্গা শহরের টিএনটি মোড় সংলগ্ন আরামপাড়ার একটি তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় তালাবদ্ধ একটি অফিস। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে সাধারণ ভাড়া বাসা। দরজায় ঝোলানো ব্যানারে লেখা আছে অনলাইনে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ‘আর জে ট্রেডিং’ আর হজ এজেন্সি ‘খাদেম এভিয়েশন সার্ভিসেস’-এর নাম। কিন্তু ভেতরে চলত ভিন্ন খেলা—বিনিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ।
প্রতারণার এই ব্যবসা গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান “সেন্টএফএক্সে’র” নাম ভাঙিয়ে। চক্রটি নিজেদের পরিচয় দেয় ওজিএস গ্রুপ ও সাকসেস অ্যাসোসিয়েশন নামে। তারা সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করিয়েছে “মাসে অস্বাভাবিক মুনাফা”র লোভ দেখিয়ে। কেউ বলেছেন, এক লাখ টাকায় মাসে পাঁচ হাজার টাকা রিটার্ন মিলবে; কেউ আবার আরও বড় অঙ্কের প্রতিশ্রুতি শুনে কোটি টাকাও বিনিয়োগ করেছেন। শুরুতে কিছু টাকা ফেরতও দেওয়া হয়েছে, নকল অ্যাপে ডলার দেখানো হয়েছে। কিন্তু এখন গ্রাহকদের সামনে কেবল তালাবদ্ধ অফিস আর বন্ধ ফোন নম্বর।
তাদের অনুসন্ধান বলছে, অনলাইন জুয়া, ক্রিপ্টোকারেন্সি কিংবা ইলেকট্রনিক মুদ্রা কেনা-বেচার ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া দেশের এই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এবার অনলাইন শেয়ার-বাজারে বিনিয়োগের নামে নতুন এক প্রতারণার কৌশলে শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গায় আলমগীর হোসেন নামের এক স্কুল শিক্ষক গড়ে তুলেছেন শিক্ষক সিন্ডিকেট। যারা এই প্রতারণা কাজে জড়িত। এছাড়া সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টার্গেট করেই ওজিএস গ্রুপ ও সাকসেস অ্যাসোসিয়েশন নামক কোম্পানির লোকজন তাদের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়- প্রথম দিকে বিনিয়োগকারীদের সামান্য অর্থ ফেরত দিয়ে আস্থা অর্জন করা হয়। নকল মোবাইল অ্যাপে মুনাফা দেখানো হয়, অথচ কোনো ডকুমেন্টস নেই। একসময় অ্যাপ থেকে টাকা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত ওজিএস গ্রুপ এই সেন্টএফএক্স (CentFX) নামের একটি আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে দুবাইয়ে স্বর্ণ মার্কেটে বিনিয়োগের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে সেন্টএফএক্স (CentFX) নামের কোনো কোম্পানি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নয়। আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান এই সেন্টএফএক্সের সাথে ওজিএস গ্রুপ কর্তৃক পরিচালিত সেন্টএফএক্স (CentFX)-এর কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্কও অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি। এছাড়া CentFX-এর ওয়েবসাইট ভিজিট করলে, সেখানে সতর্কতা জারি রয়েছে। বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানে তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা চলছে। প্রতারকরা একজন গ্রাহককে বলছেন- আপনার ফোনে থাকা অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আপনার টাকা দেখতে পাবেন ডলারে। এমনকি তারা সেটাও দেখাচ্ছে। একটা ইমেইল দিয়ে CentFX-এর একাউন্ট খুলে সেখানে গ্রাহকের টাকা ডলারে কনভার্ট করে ডিপোজিট একাউন্টে দেখাচ্ছেন। অথচ যখন তখন বন্ধ হবে এই অ্যাপ। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা থেকে এই প্রতারক চক্র টাকা কালেকশন করে ওজিএস গ্রুপের সজীব নামের কাছে টাকা পাঠানোর পরেই ওই অ্যাপে ডলার হয়ে সেই টাকা ডিপোজিট হচ্ছে।
অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টিএনটি মোড় সংলগ্ন আরামপাড়ার একটি তিনতলা বিল্ডিং-এর তৃতীয় তলায় ভাড়া বাড়িতে অফিস খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করছে চক্রের সদস্যরা। ভবনে কোনও সাইনবোর্ড নেই। নাম পরিচয়হীন এই অফিসে নিয়মিত কাউকে দেখা যায় না; তবে গত কয়েকদিন ধরে এই অনুসন্ধানে করলে ওই অফিসটি তালাবদ্ধ দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন- এই অফিসে আসা-যাওয়ার লোকজনের গতিবিধিও রহস্যজনক। সরেজমিনে অত্র বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় গেলে দেখা যায়, দরজায় অনলাইনে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পন্য কেনাকাটার প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে ‘আর জে ট্রেডিং’ ও ‘ওমরাহ হজ এজেন্সি খাদেম এভিয়েশন সার্ভিসেস’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম সম্বলিত ব্যানার দেওয়া আছে। অথচ এখানেই চলে সেন্টএফএক্স (CentFX) নামের পঞ্জি স্কিমের গ্রাহক ঢুকানো কাজ।
এ বিষয়ে অত্র বাড়ির মালিক আবুল বাশারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিল্ডিং গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই রোকনুজ্জামান নামের একজন ১৩ হাজার টাকায় ভাড়া নেন।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছ থেকে যখন বাড়ি ভাড়া করে- তখন তারা বলেছিলো- অনলাইন ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ব্যবসা পরিচালনা করবে। আর সেই সাথে তারা মুখে বলেছিল যে, তারা হজ কাফেলা নিয়ে যায়। এই ওমরা হজের যাত্রী নিয়ে যায়। এইসব বলে নিয়েছে আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে। এসময় বাড়ির মালিক ওই চক্রের সাথে করা চুক্তিপত্র দেখায়।
প্রান্ত জোয়ার্দ্দার, স্থানীয় মোটরসাইকেল শোরুমের মালিক বলেন, আমরা জানি, উপরে একটা অফিস আছে। চৌদ্দ মাস ধরে এই তিনতলা ভবনের উপরের তলায় অফিসটি চলছে। আমার শোরুম নিচে, তাই আমি সবসময় নিচেই থাকি। এখানে অনেক সময় লোকজন যাতায়াত করে—পুরুষ, মহিলা সবাই আসে। প্রথমে ভাবতাম, হয়তো দুই তলায় সরকারি কোনো অফিস বা আইসিটি অফিস আছে। এখন দেখছি তা নয়। উপরের তিন তলায় ‘হজ্জ ট্রেডিং’ নামে একটি অফিস আছে, যা অনলাইনে ইলেকট্রনিক পণ্য পাইকারি বিক্রির নাম দিয়ে চালু করা হয়েছিল।
“লোকজন এখানে আসছে, বিশেষ করে সন্ধ্যায়। পুরুষ ও মহিলা একসাথে আসে। এখন বুঝতে পারছি, হজ্জ ট্রেডিং কিছু করছে না, অন্য কিছু হচ্ছে। পাশের দোকানগুলোর সামনে অনেক গ্রাহক এসে খোঁজাখুঁজি করছেন। কেউ বলছে ১০ লাখ টাকা দিয়েছি, কেউ ৬০ লাখ, কেউ ৩০ লাখ। সবাই অফিসের অবস্থান খুঁজছে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক জানান, “১ লাখ টাকায় মাসে ৫ হাজার টাকা করে মুনাফা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাই আমি চার লাখ টাকা এদের কাছে বিনিয়োগ করেছি। প্রথম কয়েক মাস মাসে মাসে টাকা পেতাম। তবে এখন কয়দিন ধরে অফিস খোলা নেই এবং টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন পেশার কয়েক হাজার মানুষকে বোকা বানিয়ে এই চক্রের গ্রাহক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিনিয়োগের পরিমাণ লাখ থেকে কোটি টাকার মধ্যে। পঞ্জি স্কিমের কৌশলে, হাজার-লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৯ হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত।
কেউ কেউ দাবি করেছেন, কখনো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং দেখানো হতো, কখনো ‘ওজিএস’ নামে অনলাইন পণ্য বিক্রি, আবার কখনো ‘সাকসেস এসোসিয়েশন’ নামে সমবায় প্রতিষ্ঠান বা ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম ব্যবহার করা হতো। এভাবে একাধিক নাম ব্যবহার করে একই কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। এই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট ও চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি।
চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন, কিছু ব্যক্তি আমার কাছে এসে বলেছে, তাদের এখানে টাকা রাখতে। তবে এই ‘গ্লোবাল শপ’ যে টাকা রাখতে বলছে, তার কোনো বাস্তবতা নেই। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া, এবং সরকারের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। যারা এখানে টাকা দিচ্ছে বা নিচ্ছে, তারা নিজেরাও কিছু জানে না। সেন্টাফেক্স নামের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সরকারও কিছু জানে না। এটি ভাওতা।
এছাড়া ‘ওজিএস’ নামে অবৈধ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এরা মূলত হুন্ডি ও অর্থপাচারের সঙ্গে যুক্ত। লাভের লোভে কয়েক হাজার মানুষ এই চক্রে জড়িয়েছে। আমার মনে হয়, যদি এই পাচারকারি সদস্যদের আটকানো না হয়, তবে সাধারণ মানুষ গুরুতর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এই চক্রকে দ্রুত সনাক্ত করতে হবে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের এতিমখানা পাড়ার রোকনুজ্জামান ও বাগানপাড়ার মকবুল হোসেন মূলত এই চক্রের স্থানীয় হোতা। এদের দুজনের কোম্পানি কর্তৃক দেওয়া পদবি হলো এজিএম। এর সাথে চুয়াডাঙ্গা এম এ বারী মাধ্যমিক লাইব্রেরিয়ান নাজমুল কবির ও চুয়াডাঙ্গা বিএডিসিতে কর্মরত জামাল উদ্দিন আছেন, এদের দুজনের পরেই। কোম্পানি কর্তৃক এদের পদবি সিআইবি। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা এম এ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন আছেন ওজিএস গ্রুপের কোম্পানি প্রতিনিধি হিসেবে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা শহরের আলী হোসেন মার্কেটের ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী রাজিব। তিনি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কানন সেন্টাফেক্সে বিনিয়োগসহ এমআইবি পদে ওজিএস গ্রুপে কাজ করেন। তবে রাজীবের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলাতদিয়াড়ের গোলাম জাকারিয়া মিলন, হাজরাহাটি গ্রামের আক্তার ও নুরনগর জাফরপুরের কাননসহ প্রায় শতাধিক মানুষের একটি সিন্ডিকেট প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রাহক সন্ধানে মাঠে কাজ করেন। এদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশের বাইরে। তবে এবিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি। অনুসন্ধান চলাকালে অভিযুক্তরা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
এছাড়া অভিযুক্তদের সাথে বার বার কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে কেউ ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তাদের অফিস ও বাড়িতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
তবে এই প্রতারণা চক্রের অন্যতম চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের প্রধান রোকনুজ্জামান তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন নাম্বারটি একবার রিসিভ করলে, তাকে প্রশ্ন করার সাথে তিনি বলেন, আমি রাজশাহী চুয়াডাঙ্গা এসে আপনার সাথে কথা হবে। এরপর ফোনও রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুয়াডাঙ্গা সদরের এক ব্যক্তি, যিনি ওজিএস গ্রুপের এমআইবি পদে কাজ করতেন, জানিয়েছেন, “আমি আগে একটি বীমা কোম্পানিতে কাজ করতাম। সেখানে থেকে আমাকে বেশি বেতন দেখিয়ে এখানে নিয়ে আসে। কাজ শুরু করার পর আমি অনেক গ্রাহক ম্যানেজ করতাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, গ্রাহকদের জমা করা অর্থ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এই টাকার কোনো গ্যারান্টি নেই। আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি এবং যাদের মাধ্যমে গ্রাহক হয়েছিল, তাদেরও জানিয়েছি তাদের টাকা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে।”
তিনি আরও জানান, “সেন্টএফএক্সের মাধ্যমে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, দেশের টাকাও পাচারের শঙ্কা রয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, যশোর, মেহেরপুর ও রাজবাড়ী জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওজিএস গ্রুপের নামে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শুনেছি, কোটি কোটি টাকা দুবাই পাঠানো হয়েছে। এর মানে এ প্রতিষ্ঠানের কোনো লাইসেন্স নেই; অর্থাৎ এটি অবৈধ হুন্ডি কারবারের মতো।”
তিনি আরও সতর্ক করেন, “যারা এ ধরণের বিনিয়োগে জড়াচ্ছেন, তারা বুঝতে পারছেন না—যে টাকা জমা দিচ্ছেন, তার কোনো নিরাপত্তা নেই। এই চক্র দ্রুত থামানো না হলে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়তে পারে।”
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, এই ধরনের একটি অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিগোচরে আসছে। আমরা এটা খতিয়ে দেখছি। আইনের ব্যতয় হলে অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে। যদিও কেউ অভিযোগ দেয়নি। তারপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এটিকে নজরদারিতে রেখেছি। এটা গুরুত্বসহকারে দেখছি আমরা। তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আপনারদের মাধ্যমে আমার নলেজে এসেছে। আমরা অতিদ্রুত অনুসন্ধান করে দেখব। যদি লিগ্যাল কোন পারমিশন না থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন পর্যন্ত কোন ভুক্তভোগী আমার নিকট আসেনি। সরকারিভাবে স্বীকৃত নয় এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে টাকা ইনভেস্ট না করতে অনুরোধ করেন তিনি।
বর্তমান পর্যন্ত শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা থেকেই কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন চ্যানেলে বিহাত হয়েছে। অর্থ পাচার ও প্রতারণা আটকাতে প্রশাসনকে কঠোর হাতে লাগাম টানতে হবে, নইলে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।