
‘সহযোগিতামূলক পেশা হিসেবে শিক্ষাদানের পুনর্গঠন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে দিনাজপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে ওই র্যালি বের হয় এবং জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য-দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। শিক্ষাই একমাত্র শক্তি যা অন্যায়-অত্যাচারকে দূর করতে পারে। শিক্ষাই হচ্ছে মনের চোখ, সে জন্য শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আসুন নীতি-নৈতিকতা দিয়ে এই সমাজ-দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.এন শাহজাহান সিদ্দিক।
“মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকের ভূমিকা”- শীর্ষক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান, মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট দিনাজপুরের সভাপতি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসা বিরামপুরের অধ্যক্ষ ড. মো. নুরুল ইসলাম, দিনাজপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, দিনাজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বুলবুল আহমেদ।
আলোচকরা বলেন, বর্তমানে জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থাই এখন প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান পিপাসা তৈরি করাই একজন শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দিনাজপুর জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ফারহানা কুইন। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন চেহেলগাজী শিক্ষা নিকেতনের সহকারী শিক্ষক মো. ওবায়দুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. সাকরিনা বেগমসহ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।