
সিরাজগঞ্জে এবার কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুয়েল রানা ও (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) যুবলীগের নেতা রনি সিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ফেরদৌস আলম সংবাদকর্মীদের জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার সোনামুখী বাজার থেকে ফেরার পথে রৌহাবাড়ী চৌরাস্তায় পৌঁছালে জুয়েল রানা ও তার সহযোগী রনি সিকদার পথরোধ করেন এবং নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের অফিসে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ সময় তারা প্রথমে ৫ লাখ এবং পরে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। অবশেষে স্থানীয় ব্যবসায়ী বকুলের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়ে জুয়েল রানাকে দিলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ফেরদৌস।
নির্যাতনের শিকার ফেরদৌস ওই উপজেলার গাড়াবেড় গোদাগারী গ্রামের সোলায়মান হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুয়েল রানা বলেন, “আমি ফেরদৌসকে দেড় মাস আগে আড়াই লাখ টাকা হাওলাত দিয়েছি। সে এর মধ্যে আশি হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে।”
তবে টাকা হাওলাতের কোনো প্রমাণ (ডকুমেন্টস) আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার কাছে কোনো ডকুমেন্টস নাই।” যুবলীগ নেতা রনি সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
কাজিপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইদ আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, “এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”