
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশী আল মামুন (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও এ কাজ করায় মামুনের শাস্তির দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিমের পরিবার। অভিযুক্ত মামুন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চাপিলাকান্দা গ্রামের মো. আব্দুস সালামের ছেলে।
মামলার অভিযোগকারী ও ভিকটিমের ভাই জানান, অভিযুক্ত আল মামুন একজন দুশ্চরিত্র ও লম্পট প্রকৃতির লোক। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে আল মামুন মেয়েটিকে ফুসলিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোরিকশায় তুলে নেয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামুন ভিকটিমকে জয়পুরহাটে নিয়ে গিয়ে একটি বাসায় রাখে এবং সেখানে খুন-জখমের ভয় দেখিয়ে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। দীর্ঘ ১৫ দিন পর সে ছাত্রীকে ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী বাজারের কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, “আমাকে দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
অভিযুক্ত মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, “বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ভিকটিমের পরিবার অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। অভিযুক্ত আল মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত/২০২৫) এর ৭ (অপহরণ) ও ৯(১) (ধর্ষণ) ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুল রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।