
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা পরিষদ মসজিদ চত্বরে ‘মায়াবন নার্সারি’ গড়ে তুলেছেন আয়নাল পাগলা নামে পরিচিত পরিশ্রমী উদ্যোক্তা, গাছপ্রেমী আইনাল মিয়া (৫০)। এখানে পাওয়া যায় নানা প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা। স্থানীয় কৃষক ও গাছপ্রেমীরা নিয়মিত আসেন তাঁর নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করতে।
নিজের শ্রম, যত্ন ও আন্তরিকতায় আইনাল মিয়া এখন এলাকার সফল নার্সারি উদ্যোক্তাদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, “গাছ লাগালে শুধু পরিবেশ নয়, মানুষও বাঁচে। আমার স্বপ্ন তাড়াইলের প্রতিটি ঘরে গাছ থাকবে।” সবুজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি এই নার্সারিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
স্থানীয় বৃক্ষপ্রেমী শিক্ষক কামাল আহমেদ জানান, আইনাল মিয়ার উদ্যোগে এলাকাবাসীর মধ্যে গাছ লাগানোর আগ্রহ বেড়েছে, যা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। উপজেলার একমাত্র এই মায়াবন নার্সারি সবুজে ঘিরে রেখেছে পুরো এলাকা।
উপজেলার বেলংকা গ্রামের বাসিন্দা মৃত হোসেন আলীর ছেলে আয়নাল মিয়া জানান, বিগত দুই যুগ ধরে এই পেশায় নিজেকে জড়িয়ে রেখে এলাকায় নবায়নের উন্নয়নে নিজের ভূমিকা রাখছেন। পাশাপাশি গাছ বিক্রি করে লভ্যাংশ দিয়ে নিজের ৬ সদস্যের সংসারের ভরনপোষণ করছেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কথা হলে সদা হাস্যোজ্জ্বল আয়নাল মিয়া জানান, নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন এই মায়াবন নার্সারি। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বিক্রয়যোগ্য বিভিন্ন জাতের চারা নিয়ে চলে আসেন উপজেলা চত্বরে। সারাদিন বিক্রি শেষে অবিকৃত চারাগুলো এখানেই রেখে যান।
তিনি আরও জানান, নিজের নার্সারি ছাড়াও মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো ধরনের চারা তিনি সরবরাহ করে থাকেন।
তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য পুরো তাড়াইল উপজেলাটি সবুজে ঘেরা থাকুক। নির্মল বাতাসে বেড়ে উঠুক পরবর্তী প্রজন্ম। এজন্য সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।”