
লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় পারিবারিক ও শারীরিক কারণ দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন অর্ধশতাধিকেরও বেশি ইউপি সদস্য।
সোমবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে স্ব স্ব অবস্থান থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগকারী জাতীয় পার্টির নেতা ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. শাহাবুল হক-এর সভাপতিত্বে পদত্যাগ করেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাবুল, আজিজুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, লাল মিয়া, চিত্ত রঞ্জন, রোকছেনা বেগম, আফসানা বেগম, ডাবলু অধিকারী, আ. ছালাম মিয়া, কাজলী মোহন্ত, এন্তাজুল হক, ওবায়দুল হক, লোকমান হাকিম, কামরুল হাসান, নজরুল ইসলাম ভূট্টু, রহিম বাদশা, মমতাজ আলী সরকার, আজগার আলী, আবু সায়েম মন্ডল, জোবায়দুল ইসলাম জোবেদ, সোলায়মান আলী, রফিকুল ইসলাম রফিক, সেকেন্দার আলী, মহসিন আলী বিটু প্রমুখ।
এ সময় লালমনিরহাট সদর উপজেলার অন্যান্য ইউপি সদস্যগণ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত পদত্যাগ পত্রে স্ব স্ব ইউপি সদস্যগণ উল্লেখ করেন যে, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। বর্তমানে আমি আমার পারিবারিক/শারীরিক কারণে এই রাজনৈতিক সংগঠন হতে স্বেচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে কারো প্ররোচনা ছাড়াই পদত্যাগ করলাম। এখন থেকে সংগঠনের সাথে আমার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই এবং সংগঠনের কোনো দায়ভার আমার উপর বর্তাবেনা।
পদ্যতাগকারীদের মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগর, হারাটি, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ পন্থি ইউপি সদস্য ৪৪ জন ও জাতীয় পার্টিপন্থী ইউপি সদস্য ১২ জনসহ মোট ৫৬ জন পদত্যাগ করেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সদস্যরা সবাই বিএনপি সমর্থিত। তারা এই অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মণ্ডল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ইউপি সদস্যরা একটি অনুষ্ঠান করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। পরে তিনি জানতে পেরেছেন, সদরের ৮টি ইউপির দলীয় সমর্থিত সদস্যরা দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।