
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চাঞ্চল্যকর ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২’র সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১২ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব -১২’র উপ-অধিনায়ক মো. আহসান হাবিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নাইম হোসেন ওই উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
এর আগে পুলিশ এ মামলার আরো ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তার সংখ্যা দাঁড়ালো ৪-এ।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক মো. আহসান হাবিব বলেন, ওই কিশোরী স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। রোববার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে কলম কেনার জন্য বাইরে বের হয়। এ সময় ওই কিশোরীকে নাঈমসহ ৫/৬ জন যুবক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং স্থানীয় জামতৈল বাজার এলাকায় ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে নাইম। এ সময় কিশোরীর চিৎকার যেন বাইরে না যায় সেজন্য তারা সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে গান বাজায়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হলে ধর্ষক ও তার সহযোগী বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। বিকেলে মাদ্রাসা ছুটি হলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় বহু খোঁজাখুঁজি করে ওই শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি। পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি পরিবারকে ফোন দিয়ে জানান, ওই কিশোরী সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যায়। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে নাইমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মামলার তিনজনকে এর আগে গ্রেপ্তার করলেও আরো দুইজন পলাতক ছিল। মঙ্গলবার ভোর রাতে র্যাব-১২ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকা থেকে নাঈমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুল লতিফ উল্লেখ করেন।