
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঝড়-বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকা বাতাসে অনেক জমির ফসল নুয়ে পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, কলাগাছ, শীতকালীন সবজি ও পানের বরজ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়টি অল্প সময় স্থায়ী হলেও বৃষ্টি কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রোপা আমন ধান ও কলাবাগান।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাটিতে নুয়ে পড়েছে ধান, ভেঙে গেছে বাগানের কলাগাছ। অনেক খেতের ভুট্টাগাছও ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু স্থানে পানের বরজের চালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃষ্টিতে ফুলকপি, লাউ, লালশাক, মুলা, শিমসহ অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। তবে কী পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।
উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল জানান, দুই বিঘা জমিতে ধান ছিল। রাতের ঝড়ে খেতের এক-তৃতীয়াংশ গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। কতটুকু ফলন আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
পূর্ব দ্বীপেশ্বর গ্রামের কৃষক রসুন জানান, রাত ৯টার দিকে ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে খেতের দুই শতাধিক কলাগাছ ভেঙে গেছে। এতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম শাজাহান কবির বলেন, “বৃষ্টি ও ঝড় ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কৃষক যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে এখান থেকেও ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।”