
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজারের বাঁশ বাজারের লিজ বাতিল, আটক বস্ত্রবিতানের স্বত্বাধিকারী ও সড়ক বাজারের সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম খোকনের মুক্তি এবং হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু করেছে পাঁচটি বাজারের ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শহরের নিউমার্কেট, আনন্দবাজার, সড়ক বাজার, লাখী বাজার ও টানবাজারের সহস্রাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এসময় একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজারগুলোর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম, আনন্দবাজারের মাছ ও শুঁটকি মহলের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসানাত ভজন, সড়ক বাজারের ব্যবসায়ী মোখলেছ আহমেদসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মালামাল ওঠানামার সুবিধার জন্য বাঁশবাজার এলাকায় একটি ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন করা। কিন্তু প্রশাসন সেই দাবি উপেক্ষা করে সম্প্রতি ৩৩ জন ব্যক্তির নামে গোপনে জায়গাটি লিজ দিয়েছে এবং লিজগ্রহীতাদের নামও প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, এই লিজের নামে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকার হিসাব গোপন রাখতেই লিজ নিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সড়ক বাজারের ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম খোকনকে নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে জেলার প্রধান পাঁচটি বাজার বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা বাজার বন্ধ থাকায় পণ্য না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসব বাজারের মধ্যে পাইকারি মালের দোকান, জুয়েলার্স, বস্ত্রবিতান, নির্মাণ সামগ্রীর দোকান, মাছের বাজার, শুঁটকি বাজারসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লিজ বাতিল ও আটক নেতার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।