
মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে নদীতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা উঠার সঙ্গে সঙ্গেই জেলেরা ইলিশ শিকারে নামেন, যার ফলে চাঁদপুরের মাছ ঘাটগুলো আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। মাছের আড়ত ও বাজারে ফিরেছে আগের কর্মচাঞ্চল্য।
শহরের পাল বাজার, বিপনিবাগ ওয়ারলেস, বাবুরহাট, নতুন বাজার ও পুরান বাজারে দেখা গেছে, ২০০–৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বাজারে এসেছে। তবে ঘাটে এখনও আশানুরূপ বড় ইলিশ আসেনি।
বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোর থেকেই ইলিশ বেচাকেনার হাকডাকে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। ঘাটে ৬–৭টি টলার এসেছে, তাতে ইলিশের তুলনায় পাঙ্গাস, বোয়াল, আইড়সহ অন্যান্য মাছ বেশি পাওয়া গেছে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামা জেলেরা বড় আকারের ইলিশ খুব বেশি পাচ্ছেন না; ছোট ও মাঝারি সাইজের ইলিশ বেশি দেখা যাচ্ছে। বড় স্টেশন মাছঘাটে রবিবার ২৫০ মণ ইলিশ উঠেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
এক কেজি ইলিশের দাম ২৫০০–২৬০০ টাকা, ৫০০–৬০০ গ্রাম ইলিশের কেজি ৮০০–৯০০ টাকা, আর ২০০ গ্রাম ওজনের ছোট ইলিশের হালি (৪টি) বিক্রি হচ্ছে ৪৫০–৭০০ টাকায়।
মৎস্য আড়তদারদের দাবি, মেঘনা নদীর ইলিশের তুলনায় পদ্মার ইলিশের স্বাদ বেশি খ্যাত। জেলে মুকবুল জানান, মেঘনায় ছোট ইলিশ পাওয়ায় পদ্মার গভীরে গিয়েছিলেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বড় মাছ পাননি। আড়তদার ঈসমাইল হোসেন বলেন, বড় স্টেশন আড়তে আজ আড়াইশো মন ইলিশ উঠেছে।
চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার আশা প্রকাশ করেন, সামনের মৌসুমে ইলিশের পরিমাণ বাড়লে দাম কমবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল হয়েছে; অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেদের সচেতন করা হয়েছে।