ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চুয়াডাঙ্গায় দুই নারীসহ ৯ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় দুই নারীসহ ৯ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় দুই নারীসহ ৯ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আজ বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার অডিট অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বারের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন ওই ৯ আইনজীবী।

সদস্য পদ বাতিল হওয়া আইনজীবীরা হলেন জাভেদ ইকবাল, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ, মো. শামীম হাসান, মোছা. মরিয়ম খাতুন, মোছা. মাসুরা খাতুন, মো. আশরাফুল আলম রাজু, মো. মফিজুর রহমান পিণ্টু, মো. সুমন আলী ও মো. হাসানুজ্জামান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আহসান আলী। সভায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত করেন আকসিজুল ইসলাম রতন।

অডিট অধিবেশনে বক্তব্য দেন মারুফ সরোয়ার বাবু (পিপি), আব্দুল খালেক (জিপি), সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, এম এম শাহজাহান মুকুল (পিপি- নারী ও শিশু), সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, আ.স.ম. আব্দুর রউফ, তালিম হোসেন, ফজলে রাব্বী সাগর, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সামাদ, সোহরাব হোসেন (২), ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মইন উদ্দিন মইনুল, তসলিম উদ্দিন ফিরোজ, খন্দকার অহিদুল আলম মানি ও মোসলেম উদ্দিন (২)।

সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি মানজার আলী জোয়ার্দ্দার হেলাল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীরসহ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অডিট অধিবেশনে ২০২৪ সালের অডিট প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। অডিট উপ-পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে এম এম শাহজাহান মুকুল দায়িত্ব পালন করেন। সদস্য ছিলেন আসাদুজ্জামান মিল্টন ও ওহিদুজ্জামান মুকুল।

চুয়াডাঙ্গা বারে ২০২৫ সালের ১ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চার মাসে সর্বমোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং ব্যয় হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। বর্তমানে ব্যাংকে মজুদের পরিমাণ ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা। চুয়াডাঙ্গার কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকে এফডিআর-এর পরিমাণ ৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, তালিকাভুক্ত অনিয়মিত সদস্যদের সদস্য পদ বাতিলের দাবি করছি। শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের লিখিত ফরম ও ফি জমা দিতে হবে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের দাবিতে কর্মবিরতি পালনের আহ্বান জানানো হয়।

বক্তারা আরও বলেন, আইনজীবী সহকারীদের তালিকা নির্দিষ্ট হওয়া উচিত, কোনো সহকারী কার্ড ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া কোর্ট এলাকায় টাউট ও দালালদের উৎপাত বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম বলেন, যে সকল অনিয়মিত সদস্য বারে আসেন না, তাদের বিষয়ে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ জবাব দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ দেননি। যারা জবাব দিয়েছেন, তাদের কিছু উত্তর সন্দেহজনক হওয়ায় আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি।

এরপর সাধারণ সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ৯ জন আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে তারা বারের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন।

সভায় আরও জানানো হয়, তিনজন কিপিং সদস্যের সদস্য পদ বহাল থাকবে। শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে ইন্টিমেশন জমা দিতে পারবেন এবং ১ বছরের বেশি সময় শিক্ষানবিশ হিসেবে প্র্যাকটিসের সুযোগ পাবেন না।

বাতিল,আইনজীবীর সদস্য পদ,চুয়াডাঙ্গা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত