
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রিপেইড মিটারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ২০১ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্তা, নেসকো অফিস ভাঙচুর করে ক্ষতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলী ঈশ্বরদী থানায় এই মামলাটি করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রিপেইড মিটার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক আ ফ ম রাজিবুল আলমকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিবাদী আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ব্যক্তি অফিস চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও স্থাপন করা মিটারগুলো খুলে নিতে বাধ্য করেন। এ সময় অফিসের গ্লাসসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। এতে ক্ষতির মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
এদিকে নেসকোর পক্ষ থেকে কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভান-সহ ২০১ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের নামে মামলা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ঈশ্বরদীর বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। এর প্রতিবাদ জানাতে আগামী রোববার (২ নভেম্বর ) সকাল ১০টায় আবারও গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধন আহ্বান করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রিপেইড মিটার বিরোধী আন্দোলনের দিন নেসকো অফিস ভাঙচুর, নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্তাসহ ৬৫ হাজার টাকা ক্ষতির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঈশ্বরদীতে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) নেসকোর বিদ্যুৎ গ্রাহকরা ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ রাখা হবে বলে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। এর আগে অফিসে গ্রাহকদের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর ঝগড়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।