
দিনাজপুর পৌরসভার পুষ্টিমান বৃদ্ধিকরণে কর্মপরিকল্পনার সমন্বয় ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নগর পুষ্টিতে টেকসই সম্পদ সংগ্রহে মিউনিসিপ্যালিটি লেভেল মাল্টি-সেক্টরাল নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এমএলএমএনসিসি)’র ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দিনাজপুর পৌরসভার আয়োজনে ও নাইস প্রকল্পের সহযোগিতায় পৌরসভার ফাতেহুল আলম দুলাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় ৩৩ জন সরকারি, বেসরকারি, পুষ্টি বিশেষায়িত সংস্থা, সুশীল সমাজ, যুব ও ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
দিনাজপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌরসভার প্রশাসক মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাইস প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর সোহেল আহমেদ এবং নাইস প্রকল্পের দিনাজপুর পৌরসভার ফোকাল পারসন সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান সিদ্দিকী।
সভায় নাইস প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম পর্যালোচনা, অগ্রগতি ও আগামীর পরিকল্পনা তথ্যভিত্তিক ভিডিও প্রদর্শন করেন সাফ বাংলাদেশের নাইস প্রকল্পের নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট নুসরাত আলম বিভা। তার উপস্থাপনায় নাইস প্রকল্পের মাধ্যমে শুধুমাত্র সচেতনতাই নয়, পাশাপাশি এগ্রোইকোলজিক্যাল পদ্ধতিতে উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহে দিনাজপুর জেলায় বিগত চার বছরে উল্লেখযোগ্য প্রভাবের বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরা হয়।
ইএসডিও নাইস প্রজেক্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর প্রত্যয় চ্যাটার্জ্জী এর অনবদ্য সঞ্চালনায় বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের উপপরিচালক ডা. মো. আকতার ইমাম তথ্যভিত্তিক আলোচনায় বলেন, "আগামীতে শহরের পুষ্টি নিয়ে সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে হবে না, সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।"
এরপর তিনি পৌরসভার এক বছরের পুষ্টি কার্যক্রমের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে উপস্থিত সকল সদস্যের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বিশেষ সেশন পরিচালনা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সারভেইলেন্স এন্ড ইম্যুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার, যুব প্রতিনিধি হিসেবে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভলপমেন্ট ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্য হতে ১ জন প্রতিনিধি কমিটির সভাপতির অনুমোদনে এই কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
নিউট্রিশন কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এমএলএমএনসিসি)’র ত্রৈমাসিক সভাতে সভাপতির বক্তব্যে পৌরসভার প্রশাসক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, “আমাদের নিজ দায়িত্বে এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থার সহযোগিতা নিতে হবে। নাইস প্রজেক্টের পুষ্টি বিষয় জনগণকে সচেতন করার জন্য এরিয়া ভিত্তিক উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করে লিফলেট বিতরণ ও কার্যক্রম বুঝাতে হবে। যেখানে পুষ্টি বিষয় অন্ধকার বিরাজ করছে আপনাদেরকে কাজের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। নাইস প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে কিন্তু জনগণের গ্রহণযোগ্যতা বিস্তৃত লাভ করার জন্য পুষ্টির কর্মক্ষেত্র নিয়ে প্রতিমাসে সভাতে কাজের জবাবদিহিতা ও অগ্রগতির আলোচনা করতে হবে। আরো তিন বছরের জন্য নাইস প্রোজেক্ট বৃদ্ধিকরণের কর্মক্ষেত্রে পৌরসভা থেকে সার্বিক ও সব ধরনের সহযোগিতার পাশে থাকবে।”
এ সময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম খান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক খন্দকার রওনকুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিফুর রহমান সরকার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোর্শেদ আলী খান, জেলার অতিরিক্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া, জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান, দিনাজপুর ভোক্তা অধিকারের সহকারী-পরিচালক বোরহান উদ্দীন, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, দিনাজপুর নিরাপদ খাদ্য অফিসার গৌতম কুমার সাহা প্রমুখ।