ঢাকা শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্মাণের ২ মাস পর ব্রিজ বিধ্বস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

নির্মাণের ২ মাস পর ব্রিজ বিধ্বস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীর বড়ভিটা ইউনিয়নের চড় পূর্ব ধনিরাম আবাসনগামী সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীত করতে নালার ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ শেষে উদ্বোধনের মাত্র ২ মাস যেতেই ভেঙে পড়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর পূর্ব ধনিরামের আবাসনের লোকজন এবং এলাকাবাসীর স্বপ্নের এই ব্রিজটি নির্মাণের পরপরই ভেঙে পড়ায় চলাচলের যে অসুবিধা ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাতে সংশ্লিষ্টদের হতাশার শেষ নেই। অথচ ব্রিজটি ভেঙে পড়ার প্রায় সাত বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত সেখানে নির্মাণ হয়নি নতুন কোন ব্রিজ বা সংস্কার কার্যক্রম। ফলে সাত বছর ধরে ড্রাম দিয়ে তৈরি করা ভেলাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, কর্মজীবী মানুষসহ দুই গ্রামের ৫ হাজারের বেশি অধিবাসী। তা ছাড়া একমাত্র সংযোগ সেতুটি ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসীও।

দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি মেরামত না হওয়ায় এখন এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা সেই অস্থায়ী ড্রামের ভেলা। এতে করে ড্রামের ভেলায় পারাপারের সময় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা। কৃষি পণ্য আনা-নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। তাই এলাকাবাসী জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় গ্রামবাসী, আবাসনবাসী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, নির্মাণের কাজ শেষে উদ্বোধনের দুই মাস যেতে না যেতেই এই ব্রিজটি ভেঙে যায়। তখন থেকে প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। সেই থেকে আমরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে ড্রামের ভেলায় যাতায়াত করছি, এতে প্রায় সময় আমরা অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। আমাদের দুঃখ-কষ্ট মেম্বার বা চেয়ারম্যান কেউ দেখে না।

ফুলবাড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলা জানান, ওই নালার উপর আমরা ৪০ ফুট একটি ব্রিজ করেছিলাম। খালের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে আরও বেশি নালার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

দুর্ভোগে এলাকাবাসী,ব্রিজ বিধ্বস্ত,নির্মাণের ২ মাস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত