
শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত মা সমাবেশ শেষে মাদ্রাসার নিজস্ব অর্থায়নের ইবতেদায়ী স্তরের ৬৬ শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) মাদ্রাসা মিলনায়তনে মাদ্রাসার সুপার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মা সমাবেশ ও বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. মোশারফ হোসাইন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের জরুরি করণীয় বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সহ-সুপার মাওলানা ফজলুল করিম, অভিভাবকের পক্ষে সোহেল রানা প্রমুখ।
মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা গেছে, কার্যদিবসের শতকরা ৮৫ দিন উপস্থিত ইবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসার নিজস্ব অর্থায়নের উপবৃত্তি প্রাপ্তির বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নির্ধারিত হারে প্রাপ্যতার ভিত্তিতে উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকগণের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রতি ৬ মাস পর পর ইবতেদায়ী শাখার শিক্ষার্থীদের মাঝে এ উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।
এসময় সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক নুসরাত জাহান নিপা, শওকত আলী, মাহাদী মাসুদ, জেসমিন আক্তার, সবুজা খাতুন ও মুক্তা খাতুন; সহকারী মৌলভী হযরত আলী, ফুলেছা খাতুন ও সোহাগী বেগম, সহকারী শিক্ষক তাহেরা সুলতানা, মোজাহিদুল ইসলামসহ কব্দুল হোসেন, ইয়াছিন আহাম্মেদ, উজ্জল মিয়া, লাবনী বেগম ও আরিফ হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অভিভাবকগণ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, প্রতিটি মুসলিমের ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাগ্রহণ জরুরি। তাছাড়া বর্তমানের মাদ্রাসা শিক্ষা আর আগের মতো পিছিয়ে নেই, বরং সাধারণ শিক্ষার চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক আরবি শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষাসহ যেকোন চাকরির পরীক্ষায় অন্যসব শিক্ষার্থীর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তারা জানান।