সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার অলিদহ গ্রামে অটোচালক আমিরুলের ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন— একই এলাকার চকনিহাল গ্রামের সাহেব আলী প্রামানিক (২৫), মনিরুজ্জামান সরকার (৪৪) ও তাড়াশ উপজেলার ওয়াসিন গ্রামের আব্দুল আজিম প্রাং (৩১)।
ওসি (ডিবি) একরামুল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রতিদিনের মত ওই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে অটোকচালক আমিরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি। পরদিন সলঙ্গা থানায় একটি জিডি করা হয়। নিখোঁজের প্রায় আড়াই মাস পর ১৮ অক্টোবর বিকেলে ওই থানার চক নিহাল গ্রামের একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে আমিরুলের মাথার খুলিসহ কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরনের কাপড় দেখে কঙ্কালটি আমিরুলের বলে শনাক্ত করে তার পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা বিশেষ তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের দিকনিদের্শনায় তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। বুধবার ভোররাতে এ মামলার তদন্তকারী অফিসার ডিবির এসআই নাজমুক হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহত আমিরুলের অটোভ্যানের মালামাল উদ্ধার করা হয়।
ওইদিন তারা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
