ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিকেলে বোয়ালমারীতে বিএনপির বিবদমান দুই পক্ষের আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করে। উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ কর্মসূচির আয়োজন করে। অন্যদিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ র‍্যালির আয়োজন করে। বিকেলে দুই পক্ষের সমর্থকরা বোয়ালমারী বাজার এলাকায় জড়ো হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এ সময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপে লিপ্ত হয়, এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপন (৫০) ও রফিকুল ইসলাম (৪৬) গুরুতর জখম হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিত বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে রাখা প্রায় ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং আশপাশের অন্তত ৮-১০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে, র‍্যালি থেকে ফেরার সময় ছোলনা গ্রামের একটি ইটভাটার সামনে খন্দকার নাসির গ্রুপের লিয়াকত মোল্লা (৫০) কে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকেও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, নাসির গ্রুপ সমর্থিত নেতাকর্মীরা বহিরাগত লোকজন এনে আমাদের নেতাকর্মী ও অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে।

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটির সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঝুনু মিয়ার সমর্থকরা উস্কানি দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, সাতজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসে, এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, এ ধরনের সহিংস ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিস্থিতি যাতে আর না ঘোলাটে হয়, সেজন্য প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

ফরিদপুর,বিএনপি,সংঘর্ষ,আহত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত