
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সীগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে তামাক চাষীদের সিন্ডিকেটের কারণে বিপাকে পড়েছে কৃষি বিভাগ ও সার ডিলাররা। তাদের অনিয়ম ও অতিরিক্ত সার ব্যবহার কৃষি ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এ বছর আগের বছরের তুলনায় সার বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও মাঠপর্যায়ে কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাছের পুকুর ও তামাকক্ষেতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করছেন অনেক কৃষক। ফলে প্রকৃত কৃষকরা প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার পাচ্ছেন না।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, কিছু তামাক চাষি ভাড়া করা লোকজনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ডিলার পয়েন্ট থেকে সার উত্তোলন করছেন, এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ ন্যায্য বণ্টন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত দুই বছর আগেও যখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে ডিলার পয়েন্টগুলো এত সক্রিয় ছিল না, তখনও এমন সংকট দেখা দেয়নি। এখন প্রতিটি ইউনিয়নে তিন-চারটি করে ডিলার পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের দাবি, স্বৈরাচারী হাসিনার কিছু অনুসারী ও স্বার্থান্বেষী মহল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কিছু অসাধু ব্যক্তি সার সংগ্রহ করে বাইরে বিক্রি করছেন বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। আবার কিছু খুচরা ব্যবসায়ী সার কিনে বাকিতে বেশি দামে বিক্রি করছেন, যার ফলে ডিলার পয়েন্ট থেকে অতিরিক্ত সার বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেক স্থানে দেখা গেছে, ডিলাররা সঠিকভাবে ও সুশৃঙ্খলভাবে সার বিতরণ করছেন।
এদিকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। তারা জানান, একটি মহল এবং ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর সহযোগীরা ডিলার ও কৃষি কর্মকর্তাদের হুমকি দিচ্ছে, যা মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।