
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে তারই পরিচিত সেলিম নামের এক ব্যক্তি। এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করার পর এলাকাবাসী সেলিমকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রফিকুল ইসলামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইওএইচ) রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।
আহত রফিকুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের নতুনপাড়ার মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ইট-বালি ও মাটি ব্যবসায়ী।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সেলিম সম্পর্কে ভাইরা ভাই হয়। রাতে সেলিম তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরে এসে আমার বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। রাত একটা নাগাদ সে আমাকে বলে, মোবাইল বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর আমি ঘুমিয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পরেই সে আমার ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। কেন এমন করল, আমি জানি না।
রফিকুলের বড় ভাই মফিজুর রহমান বলেন, হঠাৎ ভাইয়ের চিৎকার শুনে আমরা ঘর থেকে ছুটে আসি। দেখি ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেলিমকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা কেউ জানি না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, রফিকুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বাম চোখে গুরুতর আঘাত রয়েছে। মাথা ও ডান হাতেও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য এনআইওএইচ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, ঘটনার পরপরই সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।