
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া গ্রামের গৃহবধূ জিয়াছমিন হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী ও ননদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। তারা হলো, ওই গৃহবধূর স্বামী দোলন হোসেন প্রামাণিক ও ননদ সুজনী খাতুন।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ কারাদন্ডাদেশ দেন। ওই আদালতের পিপি রফিক সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ২০১০ সালে ওই গ্রামের শুকুর আলী প্রামাণিকের ছেলে দোলন হোসেন প্রামাণিকের সঙ্গে একই গ্রামের জিয়াছমিন খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। এরপরেও বিভিন্ন সময়ে দোলন তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা একাধিকবার সালিশ বৈঠকও করেন।
এরই জের জেরে ২০১৯ সালের ১৩ জুন ওই গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে গৃহবধূর বাবা ইউসুফ আলী প্রামাণিক বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক স্বামীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন এবং অপর ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।