ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সাতক্ষীরায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিক্ষোভ

সাতক্ষীরায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিক্ষোভ

সাতক্ষীরায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে শহরের খুলনা রোড মোড়ের আসিফ চত্বরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পুলিশের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা বলেন, “একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর”, “জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে আগুন কেন, প্রশাসন জবাব চাই”, “দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত”—এ ধরনের স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।

বিক্ষোভে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন, সদস্য নাজমুল হক রনি, মুজাহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত নয়টার দিকে শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে কে বা কারা পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। ঘটনার পর থেকেই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক আগুন জ্বালানোর সময় যুবলীগ ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিচ্ছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন জানান, জুলাই স্মৃতি স্তম্ভে জুলাই যোদ্ধাদের বিপ্লবী স্লোগান রয়েছে, সাতক্ষীরার চার শহীদের নাম রয়েছে। অথচ সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রশাসনের কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এখনও উদ্ধার হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা প্রশাসনের একটি ঢিলেঢালা অবস্থান দেখতে পাচ্ছি। এছাড়া সাতক্ষীরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পরিচয়ে প্রায় প্রতিদিন পোস্টারিং ও মিছিল করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে যারা তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে, ততক্ষণ ছাত্র-জনতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাঠে অবস্থান করবে।”

তিনি আরও জানান, “আমাদের একটাই দাবি—প্রশাসন যেন এই ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় না দেয় এবং প্রশাসনের সর্বোচ্চ টহল জোরদার রাখে। যারা স্মৃতি স্তম্ভে আগুন দিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি শোনার পরপরই মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে আমি ঘটনাস্থলে যাই, কিন্তু অগ্নিসংযোগের কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে ১৫-২০ হাত দূরে জেলা পরিষদের সিসি ক্যামেরা ও হ্যালোজেন লাইট স্থাপন করা রয়েছে। বিষয়টি সার্বিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

সবাইকে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম।

বিক্ষোভ,জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ,সাতক্ষীরা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত