
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর সদরের পুরো আশপাশ এলাকায় আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনে কোনো প্রভাব পড়েনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু করে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জনমানুষ ও যান চলাচল অত্যন্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল।
পৌর সদরের দক্ষিণপাড়াস্থ (পুলিশ মোড়) উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, উপজেলা যুবদল, পৌর যুবদল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল, উপজেলা শ্রমিক দল, উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল, সুসং কলেজ ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লকডাউন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বলে সরেজমিন ঘুরে এমন তথ্যচিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও হঠাৎ লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তি নানাভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে। ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন বানচাল করার জন্য দিনরাত পায়তারা করে আসছে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন ঘোষণায় অনড় অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের শান্তিময় পরিবেশকে অস্থির করতে একটি মহল চক্রান্ত করছে।
কিন্তু সীমান্তবর্তী উপজেলা (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) নেত্রকোনা-১ আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তার একক চিন্তা-চেতনা আর মননে দুটি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তিনি তৃণমূল থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে এক বটবৃক্ষ হিসেবে ছায়া হয়ে জ্যোতি ছড়াচ্ছেন। তিনি স্থানীয়দের আশার বাতিঘর। সুখে-দুঃখে তিনি পাশে থাকেন অসহায় ও বঞ্চিত, নিপীড়িত, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে নিবেদিত রাখছেন দুটি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ তথা গারো, হাজং, কোচ, বানাই, হদি সম্প্রদায়ের মানুষের প্রিয় মানুষে পরিণত হয়েছেন।
তার নির্দেশনায় দুর্গাপুর-কলমাকান্দা সর্বস্তরের মানুষের মাঝে যেন এক স্বস্তির নিঃশ্বাস নেমে এসেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। দলে বিশৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজের জন্য প্রায় দুই ডজন ব্যক্তিকে শোকজ, এমনকি দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
এ সতর্কবার্তা উপজেলার তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে শৃঙ্খলা ফেরাতে এটা যেন এক আশার আলো। এক ও অভিন্ন রাজনীতির প্রেরণা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে মহান নেতায় ভূষিত হয়েছেন।
‘লকডাউন’ প্রশ্নে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাষ্টার বলেন, “দুর্গাপুর উপজেলাটি একটি শান্তিপ্রিয় অঞ্চল। এখানে কোনো নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের জায়গা নেই। আমরা অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে বসবাস করতে চাই। মত ও পথ থাকতে পারে, কিন্তু সুন্দরের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। কেউ অযথা সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করবে—এটা মেনে নেওয়া হবে না। সুন্দরের প্রশ্নে আমার নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল মহোদয় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করেন। তার দেখানো পথেই আমাদের পথচলা।”