
দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৫ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দর্শনা দারুসসুন্নাত সিদ্দীকিয়া ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৮৭০ জন ভোটারের মধ্যে ৮৩৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বাতিল ভোটের সংখ্যা ছিল ৫৯।
সন্ধ্যায় প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল লতিফ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সভাপতি পদে তোফাজ্জেল হোসেন চেয়ার প্রতীকে ৩৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকুল ইসলাম জুয়েল চশমা প্রতীকে ২৯৪ ভোট এবং লুৎফর রহমান মই প্রতীকে ১৮২ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সভাপতি পদে আবুল বাসার মোরগ প্রতীকে ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুল ইসলাম (জয়নাল) কলস প্রতীকে ১৯৩ ভোট এবং রিন্টু জামান মাছ প্রতীকে ১৬৯ ভোট পান।
সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন রতন প্রজাপতি প্রতীকে ২৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মেহমুদ লিটন সাইকেল প্রতীকে ২৪০ ভোট, নাসির উদ্দীন খান হাসু সূর্যমুখী ফুল প্রতীকে ১৭৪ ভোট, রিয়েল ইসলাম লিয়ন ছাতা প্রতীকে ১১১ ভোট এবং আরিফুল রহমান বাবু চাঁদতারা প্রতীকে ৪৭ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আবিদ হাসান রিফাত হরিণ প্রতীকে ৬১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল আলম আনারস প্রতীকে ২১২ ভোট পান।
কোষাধ্যক্ষ পদে মিজানুর রহমান দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে ৫৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিল্লাল হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে ২৬২ ভোট পান।
দপ্তর সম্পাদক পদে সোহাগ হোসেন টেবিল প্রতীকে ৩৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কালু হারিকেন প্রতীকে ৩৩৩ ভোট এবং মতিয়ার রহমান গাড়ির চাকা প্রতীকে ১০১ ভোট পান।
১ নম্বর ওয়ার্ডে শরিফ পেয়ারা প্রতীকে ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরজ আলী কাঁঠাল প্রতীকে ৫৮ ভোট পান।
২ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম মোবাইল প্রতীকে ৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হারেজ উদ্দিন সেলাই মেশিন প্রতীকে ৫২ ভোট পান।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান বেলচা প্রতীকে ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ওয়াসিম ফুটবল প্রতীকে ৩২ ভোট পান।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে আজিজুল ইসলাম আজিজ পানপাতা প্রতীকে ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। হানিফ খা আম প্রতীকে ২৩ ভোট পান।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিব শিকদার জবাফুল প্রতীকে ৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুর রহমান টুটুল উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৯ ভোট এবং আজাহার খান ঝন্টু চায়ের কাপ প্রতীকে ২২ ভোট পান।
৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মিয়া ও শামীম মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করায় ভোটার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।