
ভূট্টা ও শীতকালীন সবজি চাষের এখন ভরা মউসুম। বিশেষ করে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ ভুট্টা উৎপাদনকারী জেলা চুয়াডাঙ্গা। অত্র অঞ্চলের চাষিদের অভিযোগ এখন ভুট্টা চাষের ভরা মৌসুম কিন্তু ভুট্টা চাষের জন্য যে পরিমাণ সারের প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী কৃষক খাইরুল, রাজু, শহিদুল অভিযোগ করে বলেন, এখানে একজন কৃষি লেবারের মূল্য ৭০০ টাকা অথচ সারের জন্য ৭০০ টাকার কাজ বন্ধ রেখে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে সার নিতে হচ্ছে। তারপরেও যেখানে ২ বস্তা সারের প্রয়োজন সেখানে ১০/২০ কেজি সার পাওয়া যাচ্ছে। আবার কখনো সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সার না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। কৃষকদের শঙ্কা যদি প্রয়োজনীয় সার না পায় তবে কাঙ্ক্ষিত ফলন ব্যাহত হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিঙ্গেদহ বাজারে বি.সি.আই.সি সার ডিলার আনছার আলী ট্রেডার্স ও হাবিবুর রহমান ট্রেডার্সের সামনে কৃষকদের লম্বা লাইন। কখনো কখনো লাইনে দাঁড়ানো কৃষকদের মধ্যে ঠেলাঠেলি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বি. এফ.এ এর সভাপতি মো. আকবর আলী বলেন, কৃষকের যে চাহিদা সেভাবে এককালীন বরাদ্দ আসছে না। কৃষকরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জমিতে সার প্রয়োগ করছে না। আবার তারা ভাবছে পরে হয়ত সার পাবো না এই ভেবে অগ্রিম সার মজুদের চেষ্টা করছে যার কারণে আরও সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।