ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাথরঘাটায় অর্ধ কোটি টাকায় ২০০ মণ ইলিশ বিক্রি

পাথরঘাটায় অর্ধ কোটি টাকায় ২০০ মণ ইলিশ বিক্রি

বঙ্গোপসাগরে এক টানে দুটি ট্রলারে ২০০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। এফবি সাফাওয়ান-১ ও এফবি রাইসা নামের ট্রলারে। এসব মাছ বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রকারভেদে হাজার টাকা মণ হিসেবে ৫৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ নামের আড়তে এসব মাছ বিক্রি করা হয়। গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) কুয়াকাটা থেকে ৭০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে মাছগুলো ধরা পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফবি রাইসা ও এফবি সাফাওয়ান নামের মাছ ধরার ট্রলার দুটি গত ১৪ নভেম্বর পাথরঘাটা থেকে জেলেদের নিয়ে সমুদ্রে যায়। এফবি রাইসা ট্রলারে ধরা পড়ে ১১০ মণ যা বিক্রি হয়েছে ২৮ লাখ পঞ্চাশ হাজার দরে। এফবি সাফাওয়ান-১ ট্রলারে ধরা পড়ে ৯০ মণ ইলিশ যা বিক্রি হয়েছে ২৫ লাখ টাকায়। তবে মাছগুলো আকারে ছোট।

এফবি রাইসা ট্রলারের মাঝি মাসুদ বলেন, গত ১৪ নভেম্বর আমরা মাছ ধরার জন্য সাগরে যাই। তিন-চারদিনে মাত্র ৪০০ পিস মাছ পাই। ১৭ নভেম্বর বিকেলে জাল ফেলে কিছু সময় অপেক্ষা করার পর জাল টান দিতে গিয়ে দেখি ইলিশ আর ইলিশ। ওই এক টানেই আনুমানিক প্রায় ১৮ হাজার ইলিশ ধরা পড়ে। সাফওয়ান-১ ট্রলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে জাল ফেলা হলে ৯০ মণ মাছ ধরা পড়ে। আজ মাছগুলো খোলা ডাকে বিক্রি করা হয়।

বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মার্কেটের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, আমার আড়তে মাছগুলো বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রায় ১৭০ মণ মাছ বিক্রি করি অন্য একটি ট্রলারে। সাগরে এখন মাছ ধরা পড়েছে না জেলেদের। তবে এবারে ২০০ মণ ধরা পড়ায় অনেকটা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, সাগরে আগের মতো মাছ ধরা না পড়ায় জেলেরা ও ট্রলার মালিকরা লোকসান গুনছিল। দুই ট্রলারে ২০০ মণ ইলিশ পাওয়ায় জেলেদের হাসি মুখ দেখে আমরাও খুশি হয়েছি।

পাথরঘাটা,বিএফডিসি,ইলিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত