
সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে টানা তিনদিনের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। আহতদের মধ্যে ২৬ জনকে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আহসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ওই এলাকার মালশাপাড়া ও হোসেনপুর মহল্লাবাসীর যুবকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এরই জের ধরে রোববার সকাল থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা বাটুল নিক্ষেপ, ডিজে লাইটসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় অনেক বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলা মৎস্য অফিসের বেশ কয়েকটি জানালাসহ অনেক ক্ষতিসাধন হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। বিশেষ করে মঙ্গলবার রাতে চান্দালি মোড় এলাকায় ডিজে লাইট দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ সংঘর্ষে কাটাওয়াপদা জড়িয়ে পড়ে। যৌথ বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। আর যেন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে উভয় মহল্লার মাতব্বরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশের প্রেক্ষিতে স্থানীয় মাতব্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বুধবার সকাল থেকে আপোষের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংঘর্ষের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে শহরের বড়পুল পশ্চিম চত্বর এলাকায় পৌর এলাকার ধানবান্ধি ও ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার দুই দল যুবক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন যুবক আহত হয়েছেন। ছাব্বির নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা নিয়ে এ সংঘর্ষ ঘটেছে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।