
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলকা–লক্ষ্মীপুর বিলে অবৈধভাবে প্রায় কোটি টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেছে বিএনপির নেতৃত্বে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা অবিলম্বে অবৈধভাবে মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন নবাগত জেলা প্রশাসকের কাছে।
এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন দামুড়হুদার পোতারপাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী শাহাবুল ইসলাম।
এদিকে, গত ৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় অফিস দলকা–মরাগাংনী মৎস্যজীবী সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্তি করে ১২০ দিনের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে। জেলা সমবায় কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাজী বাবুল হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে জেলা সমবায় দপ্তরের পরিদর্শক এইচ. এম. শাহরিয়ার শরীফকে। সদস্য করা হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় দপ্তরের সহকারী পরিদর্শক হারুণ উর রশীদ ও নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আক্তারুজ্জামানকে।
লক্ষ্মীপুরের দলকা–মরাগাংনী মৎস্যজীবী সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও অবৈধভাবে কমিটির সাবেক সভাপতি ওমর আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার আলী, সাবেক নির্বাহী সদস্য রোমবক্স, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাছুদ আলীসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ অক্টোবর এডিএম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার রাজবংশী দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পিটিশনে বর্ণিত বিষয়ের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে বিলের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও বিএনপির কতিপয় নেতারা যোগসাজশ করে অবৈধভাবে অন্তত ১ কোটি টাকার মাছ ধরে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে।
দলকা–মরাগাংনী মৎস্যজীবী সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ওমর আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।