
ভূমিকম্পে নরসিংদীর গাবতলীতে ছাদের কার্নিশ ধসে নিহত পিতা–পুত্রসহ মোট ৫ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জনের জানাজা শেষে রাতেই দাফন করা হয়েছে। অপরদিকে পিতা–পুত্রের প্রথম জানাজা আজ শনিবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে বারোটার দিকে গাবতলী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে ভূমিকম্পের সময় ছাদের কার্নিশ ধসে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পর মারা যান সদরের গাবতলী এলাকার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৭) ও তার ছেলে হাফেজ মো. ওমর (৮)।
এছাড়া পলাশের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) ও নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর এলাকার ফোরকান মিয়া (৪৫) মারা যান যথাক্রমে মাটির দেয়াল ধসে, আতঙ্কে স্ট্রোক করে এবং গাছ থেকে পড়ে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতের ঘটনা হওয়ায় মরদেহের পোস্টমর্টেম ছাড়াই শুক্রবার সন্ধ্যার পর নিহত কাজেম আলী, নাসির উদ্দিন ও ফোরকান মিয়ার জানাজা শেষে নিজ এলাকাতেই দাফন সম্পন্ন হয়।
অপরদিকে, শনিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে নরসিংদীর গাবতলীতে প্রথম জানাজা শেষে পিতা–পুত্রের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়। সেখানে আজ দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফনের কথা রয়েছে।
নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত জানাজায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, এলাকাবাসী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ভবন তৈরির নিয়মকানুন যথাযথ মেনে চলাসহ ভূমিকম্প প্রতিরোধে কাজ করার কথা বলেছেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানিয়েছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউসসহ শতাধিক ভবনে ফাটলের পাশাপাশি ৫ জন নিহত ও বহু আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।