
চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা হাটহাজারী উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিদর্শন এবং উদ্বোধনে অংশ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিবে তিনি প্রশাসনিক কার্যক্রম, শিক্ষা, কৃষি, সমাজসেবা ও যুব উন্নয়নসংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে যোগদান করেন।
দিনের শুরুতে জেলা প্রশাসক হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস এবং সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি উপজেলার বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় তিনি সকলকে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাটহাজারী পার্বতী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৮০ জন নারী শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকরণ বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। একই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রীও তুলে দেন তিনি।
এরপর তিনি উত্তর মেখল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রীড়া সামগ্রী তুলে দেন। শিক্ষাখাত পরিদর্শনের পর জেলা প্রশাসক হালদা নদীতে কার্প জাতীয় ৩০ কেজি মাছ অবমুক্ত করেন। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগকে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ৭২০ জন কৃষকের মাঝে সার, বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। কৃষকদের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়ক উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি ৫ জন শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন এবং স্থানীয় বেকার যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহর আল মুমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শওকত আলী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী জয়শ্রী দে, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহি জাহান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মো. মোর্শেদসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উপকারভোগীরা।
দিনব্যাপী এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক উপজেলার বিভিন্ন খাতের সার্বিক উন্নয়ন, সেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং জনগণের সঙ্গে প্রশাসনের সরাসরি সংযোগ আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।