
দেশে বর্তমানে আউল-বাউল নিয়ে টাইম পাস করা হচ্ছে। দুঃখের বিষয় হল একটি বিশেষ দলের (বিএনপি) মহাসচিব আউল বাউলদের সাপোর্ট করেছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমানের ঈমানে আঘাত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও ইমাম ও ওলামা পরিষদের উদ্যোগে পৌর শহরের চৌরাস্তায় বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
তারা আরও বলেন, তিনি আমাদের লজ্জা দিয়েছেন। মুসলমানেরা তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তাই এই বাংলার মাটিতে বাউলদের জায়গা হবে না। পবিত্র কুরআন ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করায় বাউল সাধক আবুল সরকারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা।
এতে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা খলিলুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা জামাল উদ্দিনসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বাউল শিল্পীরা ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে একত্রিত হতে থাকে। এমন সময় তৌহিদি জনতা বাউলদের ওপর হামলা চালায় এতে চারজন বাউল শিল্পী আহত হন। পরে তারা ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির জেলা কার্যালয়ে নবনির্মিত বিল্ডিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাউলদের ওপর হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন।