ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চা চাষে স্বাবলম্বী দিনাজপুরের চাষিরা

চা চাষে স্বাবলম্বী দিনাজপুরের চাষিরা

দিনাজপুরের সমতল ভূমিতে অন্য খাদ্যশস্যের পাশাপাশি এখন উৎপাদিত হচ্ছে অর্থকরী ফসল চা। এলাকায় চা বাগান হওয়ায় শ্রমিক ও চাষিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ঘুরতেও আসছেন চা বাগানে। কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

চা বাগান বললেই সাধারণত সবার আগে মনে আসে পঞ্চগড়, সিলেট, হবিগঞ্জ কিংবা মৌলভীবাজারের নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হয়েছে সমতল ভূমির জেলা দিনাজপুর। সেখানে মতো চাষ হচ্ছে অর্থকরী এই ফসল।

২০১৫ সালে দিনাজপুরে প্রথম চা আবাদ শুরু করেন বীরগঞ্জ উপজেলার ব্রামনভিটা গ্রামের কৃষক মো. আমিনুল ইসলাম। বন্ধুর পরামর্শে পঞ্চগড় থেকে প্রতি চারা ৪ টাকা দরে মোট ৩ হাজার চা গাছের চারা এনে দুই বিঘা জমিতে রোপণ করেন। ছয় মাস পর প্রথমবারের মতো পাতা সংগ্রহ হয় ৫০ কেজি। তার এক বছরের মধ্যেই দেড় একর জমিতে চা পাতা সংগ্রহ করেন ১ হাজার কেজি।

চা বাগানমালিক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একবার চারা রোপণ করলে আগামী ৬০–৭০ বছর জমিতে আর কিছু রোপণ করতে হবে না। শুধু পরিচর্যা করলেই ফসল ঘরে তোলা যাবে।

মো. আমিনুলের সাফল্য দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন চা চাষে। এলাকায় চা বাগান হওয়ায় শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি চা পাতা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, এলাকায় চা বাগান হওয়ায় অনেক বেকার কাজ পেয়েছে, সংসারের হাল ধরতে পারছে।

দিনাজপুরে ২০ হেক্টর জমিতে কৃষক চা বাগান করেছেন। কৃষকদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, সার, সেচ ও বালাইনাশক প্রয়োগ সম্পর্কে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জেলা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০ হেক্টর জমিতে ১৫টি চা বাগান গড়ে উঠেছে।

দিনাজপুরের চাষিরা,চা চাষে স্বাবলম্বী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত