
সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বিধবা মরিয়ম বেগম (৪৮) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার সম্পর্ক চলার পর বিয়েতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে পরকিয়া প্রেমিক অটোরিকশাচালক সোহেল রানা (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে একই এলাকার গুনেরগাঁতী গ্রামের আসাদুল্লাহর ছেলে।
সোমবার দুপুরে সদর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কুশাহাটা এলাকা থেকে কলাপাতায় মোড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর (বিপিএম বার) নির্দেশনায় একটি টিম গঠন করা হয়।
গঠিত চৌকস টিম বিশেষ তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকারী সোহেল রানাকে সনাক্ত করে। সোমবার সকালে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা হত্যার দায় স্বীকার করে।
তিনি জানান, নিহত নারী খোকসাবাড়ী হাসপাতাল এলাকার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম। তাদের মধ্যে প্রায় ২–৩ বছর ধরে পরকিয়া সম্পর্ক চলে আসছিল এবং প্রতি সপ্তাহে ১–২ বার তারা দেখা করত।
পরকিয়া সম্পর্কের পাশাপাশি সোহেল রানা মরিয়মকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। মরিয়ম বিষয়টি সময়ক্ষেপণ করায় এবং অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করে।
গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুশাহাটা গ্রামে দেখা করার পর শারীরিক সম্পর্কের সময়, সোহেল রানা আবারো বিয়ের প্রস্তাব দিলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এক পর্যায়ে সোহেল রানা মরিয়মের গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ কলাপাতা দিয়ে জড়িয়ে রেখে আসে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই সংবাদ সম্মেলনে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আহনাসুজ্জামান, সেকেন্ড অফিসার এসআই প্রণব ও অন্যান্য পুলিশ অফিসারসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।