ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করবে বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক’

‘সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করবে বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই দেশের জন্যই নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

শনিবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত “কোরিয়ান মুভি এন্ড কে-পপ ফেস্ট” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ—এই তিন স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে। দুই দেশের সম্পর্ক আজ সুদৃঢ় ভিত্তি পেয়েছে। ঢাকা ও সিউলে উভয় দেশের দূতাবাস এই সম্পর্ককে আরও গতিশীল করছে।”

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য ও হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, কেমিক্যাল ও স্টিল পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।

মেয়র আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ। বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও অবকাঠামো খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পায়নে বড় ভূমিকা রাখছে। ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এর উজ্জ্বল উদাহরণ।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কোইকা (KOICA)-এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ও অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করছে। কোরিয়ার বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জন করছে, যা দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে।

মেয়র বলেন, ইপিএস (EPS) কর্মসূচির আওতায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত। তাদের প্রেরিত রেমিট্যান্স জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করছে।

তিনি বলেন, “কোরিয়ান মুভি ও পপ সংস্কৃতি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। সাংস্কৃতিক আয়োজন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক সংস্কৃতি বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে সহায়ক। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা একটি টেকসই ও কল্যাণভিত্তিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক (Park Young Sik), কোরিয়া প্রজাতন্ত্র দূতাবাসের কনসাল মোহাম্মদ মহসিন (Mohammad Mohsin), চট্টগ্রামে কোরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পাইক (Paik), উরি ব্যাংক চট্টগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক রাকিবুল হাসান (Raqibul Hasan), থিয়েটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অভিক ওসমান, বিডি কে-ফ্যামিলির প্রতিষ্ঠাতা তাসনুভা জাহান (Tashnuva Zahan)সহ কোরিয়ান কমিউনিটির সদস্য, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

বাংলাদেশ–দক্ষিণ কোরিয়া,সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত