
রংপুরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে এ উপলক্ষ্যে বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর টাউন হল বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে অংশ নেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মজিদ আলী। এ ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে দেশের আপামর জনসাধারণ ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির গৌরব ও প্রেরণার উৎস। তাদের আত্মত্যাগ জাতিকে ন্যায়, সত্য ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে। দেশে আর কারো বাক্স্বাধীনতা হরণ করতে দেওয়া হবে না— এ বিষয়ে প্রশাসন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।