ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বুদ্ধিজীবী দিবসে কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা

বুদ্ধিজীবী দিবসে কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা

কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে “মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা” শীর্ষক এক আলোচনা সভা শিক্ষার্থী দীঘি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং প্রধান শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উবাইদুল হক, অমরনাথ চক্রবর্তী, দেবী দত্ত, তনুশ্রী বিশ্বাস, শুভাশিস নাথ, লিপি রানী শীল, মৌলানা মিজানুর রহমান, দিল আফরোজ হীরা, এনামুল হক, মো. আলম এবং প্রকাশ কুমার ঘোষ।

ছাত্রীদের পক্ষে আলোচনা করেন নুরজাহান বেগম, প্রতিমা বিশ্বাস, তাহজিম রহমান, সৃষ্টি চৌধুরী, স্নেহা চৌধুরী এবং ইসমত আরা বেগম। দেশের গান পরিবেশন করেন ছাত্রী অনন্যা চৌধুরী, ইতি দে ও মিথিলা শীল।

আলোচকেরা বলেন, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, শিল্প-সাহিত্যের চর্চা এবং ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি করেন এবং যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে অসামান্য অবদান রাখেন।

১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্ব থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৪ সালের হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের বিজয় ও পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষা, ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ঘোষণা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত সিঁড়ি বেয়ে আমরা পৌঁছেছিলাম ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনে। ১৯৭১ সালের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ছিল এরই চূড়ান্ত পর্ব।

বিশ্বের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নানা মাত্রা ও বিবেচনায় অনন্য। সম্প্রতি বিজয়ী জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বপ্নও একটি বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের সঙ্গে এই স্বপ্ন অবিভাজ্য।

এই স্বপ্ন মানুষে মানুষে সমাজের মধ্যে বৈষম্য নিশ্চিহ্ন করার স্বপ্ন, একটি দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্বপ্ন, যেখানে সবাই নির্ভয়ে নিজ নিজ মত প্রকাশ করবে, সহিষ্ণুতা নিয়ে অন্যের মত শুনবে এবং তাকে অশ্রদ্ধা করবে না।

বুদ্ধিকে আড়ষ্টতামুক্ত করে জ্ঞানচক্ষু খুলে দিয়ে তাঁরা মানুষকে যুক্তিবাদী ও মুক্তিকামী করতে চেয়েছিলেন। শাসকচক্র সব সময় সত্যকে ভয় পায় এবং সত্যের কণ্ঠ রোধ করতে চায়। এই বুদ্ধিজীবী হত্যা তারই আরেকটি নিষ্ঠুর দলিল।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

আলোচনা সভা,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,বুদ্ধিজীবী দিবস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত