
দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষকেরা। ধান চাষের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে স্বল্প খরচ এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় এ জেলার অধিকাংশ কৃষক ঝুঁকছেন ভুট্টা চাষে। বাজারদর ভালো পেলে এবার মুখে হাসির ঝিলিক ফুটবে—এমনটাই প্রত্যাশা ভুট্টা চাষিদের।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলাজুড়ে লক্ষ্য মাত্রা ৭৫ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
চলতি মাসের মধ্যে অবশিষ্ট ভুট্টা চাষাবাদ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার দিনাজপুর সদর, বিরল, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় ব্যাপক হারে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন।
আগাম জাতের এসব ভুট্টা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই তারা বিক্রি করতে পারবেন। আর কিছু ভুট্টা পরিপক্ব ও বিক্রির উপযোগী হতে ৬০ থেকে ৭০ দিন সময় লাগতে পারে।
বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি এন্তাজুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতি বছরের মতো এ বছরেও আগাম পাওনিয়ার ৩৩৫৫, পুনর্ভবা ৩৫৫৫ ও কাবেরি-৫ জাতের ৯ বিঘা ভুট্টা চাষ করেছি। কারণ, আগাম ভুট্টার চাহিদা বেশি এবং দামও ভালো পাওয়া যায়।
আমার প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষে জমি তৈরি, সার, বীজ, শ্রমিকের মজুরি ও সেচসহ সর্বমোট ২৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি, দাম ভালো থাকলে প্রতি বিঘা ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারব।
একই ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছর প্রথমবারের মতো ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি।