
ব্যতিক্রম কিছু মানুষ নিজেদের সততা, কর্মদক্ষতা ও মানবিকতায় আস্থা ফিরিয়ে আনেন। তেমনই একজন ব্যতিক্রমী সরকারি কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু। তার জনবান্ধব ও কর্তব্যপরায়ণ কর্মকাণ্ডে বদলে যাচ্ছে তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের চিত্র ও দপ্তরের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বাড়ছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা, কমছে জনভোগান্তি এবং উন্নত হচ্ছে জনসেবার মান। তার কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
একাধিক স্থানে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মেহেদী হাসান টিটু ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর তাড়াইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি দপ্তরের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে তা জনবান্ধব রূপে গড়ে তোলেন। সাধারণ মানুষের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করাই তার কর্মধারার মূল ভিত্তি।
একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি সরাসরি ভূমিকা রেখে চলেছেন।
তাড়াইল উপজেলার একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তার কাজের প্রশংসা করে বলেন, সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও মানবসেবক হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব তিনি পেশাদারিত্বের সঙ্গে সঠিকভাবে পালন করছেন। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এ ধরনের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি উপজেলাবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান টিটু বলেন, উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর এবং দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরন্তর সেবা দিয়ে আসছে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের অসহায়, দুঃস্থ ও গরিব মানুষ যেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিঃস্বার্থ ও আন্তরিকভাবে কাজ করা উচিত।
এতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গতি আসবে এবং সামগ্রিক উন্নয়ন আরও এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নিজ দপ্তরের কর্মচারীরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা সবসময় তার কাজে সহযোগিতা করছেন। ভালো কাজ করলে সবাই পাশে দাঁড়ায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, হয়তো একদিন এই উপজেলায় তিনি থাকবেন না, কিন্তু মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর কাজ ও অবদান থেকে যাবে স্মৃতিচিহ্ন হয়ে।