
সিরাজগঞ্জে ইরি বোরো চাষাবাদে ধানের বীজতলা তৈরী শুরু হয়েছে। শীতকে উপেক্ষা করে এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫২ শতাংশ ধানের বীজ বোপণ করা হয়েছে। তবে আগাম জাতের ধানের চারা এখন গজিয়ে উঠছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ইরি বোরো চাষাবাদে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা বোপণের জন্য বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব বীজতলায় আগাম জাতের ২৮, ৮৯ ও ২৯, ৮২, ১০৩, উফশী ও হাইব্রিড ধানের বীজ বোপণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলার ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ খাল-বিলের বিভিন্ন স্থানে বীজতলায় এসব ধানের বীজ বোপণ করা হয়েছে এবং বীজতলায় ধানের বীজ বোপণে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। কৃষকেরা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ধানের বীজ বোপণ করবেন বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমির বীজতলায় বিভিন্ন জাতের ধানের বীজ বোপণ করা হয়েছে। বিশেষ করে শস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় এসব ধানের বীজ বেশি বোপণ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ থেকে উল্লেখিত হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং কৃষি বিভাগ এসব বীজতলা তৈরীতে পরামর্শও দিচ্ছে। বিশেষ করে ধানের চারা গজিয়ে ওঠার সময় ঘন কুয়াশায় যেন ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ পরামর্শ অনুযায়ী ঘন কুয়াশা থেকে রক্ষায় কৃষকেরা আগাম জাতের বীজতলায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কৃষকদের ইরি বোরো ধানের বীজতলায় সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ নজর রাখছে এবং চারা বোপণে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ শুরু হবে এবং কৃষকেরা এ ধান চাষাবাদের জন্য তাদের জমি প্রস্তুতির কাজ শুরু করছেন।