
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদীর হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে সিলেটের শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব চত্বরে (কোর্ট পয়েন্ট) এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলজার আহমদ হেলালের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সিলেট প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম মিশুর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি নাজমুল কবির পাভেল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিলেট মহানগরের সাবেক সহসভাপতি সালেহ আহমদ খসরু এবং সিলেট মহানগর এবি পার্টির যুব বিভাগের সভাপতি তানজিল নাফি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিলেট অফিসের চিফ ফটো জার্নালিস্ট মামুন হাসান, দৈনিক প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি মানাউবি সিংহ শুভ, প্রথম আলোর সিলেট অফিসের আলোকচিত্রী আনিস মাহমুদ, ডেইলি স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দ্বোহা চৌধুরী ও ফটো সাংবাদিক শেখ নাসির, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের সিলেট প্রতিনিধি মাসুদ আহমদ রনি, দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট অফিসের ক্যামেরা পারসন জয়নুল আবেদীন আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও টাইম বাংলা নিউজের সিলেট প্রতিনিধি শহীদুর রহমান জুয়েল, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বার্তাবাজারের সিলেট জেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সদস্য কামরুল আলম ও জসিম উদ্দিন, বৈশাখী নিউজের সিলেট প্রতিনিধি ফাহিম আহমদ, দৈনিক সুরমা মেইলের স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম, ক্লাব সদস্য মো. আলমগীর আলম, দেশ টিভির ক্যামেরা পারসন সোহেল আহমদ, দৈনিক আজকালের খবরের সিলেট প্রতিনিধি পাবেল আহমদ, আইওন টিভির ক্যামেরা পারসন খায়রুল আমীন রাফসান, দৈনিক শ্যামল সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার তাইনুল আসলাম, সিলেট ভিউয়ের স্টাফ রিপোর্টার এহিয়া আহমদ, বাংলা টিভির রিপোর্টার ফারুক আহমদ, সিলেট প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার মো. জাকির আহমদ, ক্লাব সদস্য নাহিদ আহমদ এবং দৈনিক আলোকিত সিলেটের প্রধান আলোকচিত্রী রুবেল মিয়াসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শহীদ হাদি বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামলে তিনি নিজের বুক পেতে দিয়েছেন কোনো দ্বিধা না করে। মৃত্যুকে সবসময় বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে শহীদ হাদিকে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দিতে হলো। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আমরা হারালাম এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর নেতাকে, একটি পরিবার হারালো তাদের সন্তানকে এবং একটি সন্তান হারালো তার বাবাকে।
বক্তারা আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুধু ঢাকা নয়, সিলেটেও প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিল। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম আলোকে সরকারি দপ্তরে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ একটি উগ্রগোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে মব সৃষ্টি করে এ ধরনের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মানববন্ধন থেকে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।