ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারে হামলা

জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারে হামলা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মহজমপুর উত্তর কাজীপাড়া এলাকার আলোচিত শাওন হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে মামলার বাদী মোতালেবের পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে মহজমপুর বাজারে বাদীর বাবা আলী আজগরকে তুলে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত আলী আজগর বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় গতকাল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত দেড় বছর আগে আলী আজগরের ছেলে শাওনকে তুচ্ছ ঘটনায় নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুবক শাওনের ভাই মোতালেব বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরবর্তীতে এই মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে এসে বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিতে বাদী মোতালেব ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়।

এখন দীর্ঘদিন যাবৎ হত্যাকারীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন বাদী মোতালেব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিহত শাওনের বাবা আলী আজগরকে একা পেয়ে বিবাদী লতিফ, কামরুজ্জামান ওরফে কামু, জাবেদ, বাদশা, বাবুল, ফারুক, সুরুজ মিয়া, জাকির, জাহিদ, হোসেন, মারুফ, মিন্নত আলী ও হামিদুল, সর্ব সাং- কাজীপাড়া, থানা- সোনারগাঁ, জেলা- নারায়ণগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদী দা, চাপাটি, লোহার রড, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহজমপুর বাজারের শাহী মসজিদের সামনে গিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি মারেন এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফোলা জখম করেন।

আসামি লতিফ, কামরুজ্জামান ওরফে কামু এবং বাবুল তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে তার মাথাসহ দুই পায়ের হাঁটু, দুই হাতের কব্জির ওপর এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফোলা জখম করে। আসামি বাদশা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

আসামীরা তার ছেলে মোঃ মোতালেবকে তাদের কাছে নিয়ে দিতে বলে। কিন্তু আলী আজগর তার ছেলে মো. মোতালেবকে আসামিদের কাছে দিতে অস্বীকার করলে আসামীরা তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিববুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি তাৎক্ষণিক তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছি যেন আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বাদীর পরিবারে হামলা,মামলা তুলে নিতে,জামিনে বের হয়ে
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত