
পাবনার ঈশ্বরদীতে শীত জেঁকে বসেছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গত তিন দিন ধরে দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সাময়িকভাবে সূর্যের দেখা মিললেও তাপ ছড়ানোর আগেই আবার কুয়াশায় ঢেকে যায়। কুয়াশার কারণে যানবাহন চালকরাও ভালোভাবে দেখতে না পারায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া–ঢাকা মহাসড়কের দাশুড়িয়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে একটি আলু ভর্তি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় ট্রাকটি মারাত্মকভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন চালক ও তার সহযোগী (হেলপার)। দিনের আলোয় সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাইরে বের হচ্ছেন না। হাড় কাঁপানো শীতে দিনমজুর, অটোরিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের দৈনন্দিন আয় অর্ধেকে মেছে। খেটে খাওয়া মানুষজনও দুর্ভোগে পড়েছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৮ ডিগ্রি এবং আগেরদিন বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন শুক্রবার চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিশ্চিত করে বলেন, আমরা নিয়মিত তাপমাত্রার রেকর্ড করছি।
তীব্র শীত ও কুয়াশায় সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কুয়াশায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে এবং বাতাসের কারণে মানুষজন আরও বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, এত শীতে মাঠে কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। দুই হাত ও পা শীতে একদম বরফের মতো হয়ে যাচ্ছে।