
শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা উত্তরপাড়া এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া। স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙা ও অস্পষ্ট সাইনবোর্ড এবং মাইলফলক পরিষ্কার ও সংস্কার করে দৃশ্যমান করে তুলছেন তিনি। বিভিন্ন মহাসড়ক, আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের পাশে দীর্ঘদিন অবহেলিত এসব সাইনবোর্ড তিনি নিজ খরচে ঠিক করে দিচ্ছেন। অবহেলিত মাইলফলক ও সাইনবোর্ডের প্রাণ ফেরাচ্ছেন তিনি।
নকলা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী সুমন চাকরির ফাঁকে ও ছুটির দিনে পুরোনো মোটরসাইকেলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে রাস্তায় বের হন। যেখানে ভাঙা বা লেখা মুছে যাওয়া সাইনবোর্ড ও মাইলফলক দেখেন, সেখানেই থেমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পুনরায় লেখাগুলো দৃশ্যমান করেন।
সুমন জানান, কয়েক বছর আগে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের সময় অস্পষ্ট মাইলফলক ও সাইনবোর্ডের কারণে যাত্রীদের দূরত্ব সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় তিনি নিজেই সমস্যায় পড়তেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এই উদ্যোগের সূচনা।
তিনি বলেন, সাইনবোর্ড ও মাইলফলক অস্পষ্ট থাকায় যাত্রী, চালক ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা বিভ্রান্ত হন এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। তার এই উদ্যোগে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। সচেতন মহল নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে সড়কের সব সাইনবোর্ড ও মাইলফলক দৃশ্যমান করার দাবি জানিয়েছেন।
সচেতন মহলের অনেকে জানান, দেশের বিভিন্ন সড়কের পাশে সরকারি খরচে মাইল ফলক ও দিকনির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। এরপরে আর কোনো তদারকি করা হয় না। ফলে এগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং কিছু কিছু মাইল ফলক ও সাইনবোর্ড ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সরকারের তথা সড়ক বিভাগ বা এলজিইডি বিভাগের এককালীন ব্যয় করা প্রচুর টাকা অপচয়ের তালিকায় স্থান পায়। অথচ নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে সড়কের সমস্যা সমাধানসহ সরকারের অর্থ অপচয় রোধ করা সম্ভব। তাই রাস্তার পাশের সব মাইল ফলক ও সাইনবোর্ড দ্রুত সংস্কার ও পরিষ্কার করে লেখাগুলো স্পষ্ট করার দাবি সর্বমহলের।